নিজস্ব সংবাদদাতা : স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উৎকন্ঠা কমিয়ে পর্যটকে ভরে উঠলো উলুবেড়িয়ার গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্র। অন্যান্য বছরের মতো নজরকাড়া ভীড় না হলেও বুধবার প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
বুধবার সকাল থেকেই পর্যটন কেন্দ্রের টিকিট কাউন্টারে লম্বা লাইন দেখা যায়। আগত ছোট বড় গাড়ি বা বাস সামলাতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। ভালোরকম ভীড় লক্ষ্য করা যায় ডিয়ার পার্ক সহ ময়ুর, কুমীর, সজারু ও রঙবেরঙের পাখি দেখতে।
পর্যটকদের খরা কাটলেও জেলা পরিষদের কর্তাদের দাবি গত বছরের প্রথম দিনের তুলনায় এই বছরের প্রথম দিনে আগত পর্যটকদের সংখ্যা ছিল প্রায় অর্ধেক। হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা অনামিকা সাহা এসেছিলেন সপরিবারে পিকনিকের আনন্দ উপভোগ করতে।
তিনি বলেন বছরের প্রথম ছুটির দিন তাই দুটি বাসে করে প্রায় একশো জন এসেছেন পিকনিক করতে। তিনি বলেন উলুবেড়িয়ার অপ্রীতিকর ঘটনা সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছিলাম। কিন্তু আমরা নির্বিঘ্নেই এসেছি। পথে কোথাও কোন অসুবিধা হয়নি।
বছর দশেকের সোনালী বাবার সাথে ব্যাডমিন্টন খেলতে খেলতে জানায় খুব মজা লাগছে। হরিন, কুমীর, শজারু দেখার পাশাপাশি অনেক খেলেছি আর জমিয়ে খেয়েছি। ভীড় বাড়ায় কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে পুলিশের তৎপরতা ছিল যথেষ্ট। ডিজে নিয়েও কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে পুলিশ প্রশাসনকে।
মৃগদাব এবং উল্টোদিকের ভাগীরথীর চড়েও ডিজে নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। জোরে বক্স বাজানোর তাদের বক্সের আওয়াজ কমিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে মাইকের মাধ্যমে থার্মোকলের থালা, গ্লাস ব্যবহার না করার আবেদন জানানো হয়।
আগত পর্যটকদের রাস্তায় যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তা নজরে রাখতে উলুবেড়িয়া শহর থেকে গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় টহল দিয়েছে পুলিশের টহলদারি ভ্যান। গড়চুমুকের পর্যটক খরা কাটলেও আরেক পর্যটন কেন্দ্র গাদিয়াড়ার অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।
বুধবারেও গাদিয়াড়াতে পর্যটকের সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। মহিষরেখায় দামোদরের চড়ে, কথা শিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বসত বাড়ি সংলগ্ন সামতাবেড়িয়ার রূপনারায়নের চড়ে এবং নাউপালাতে এদিন কিছুটা ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।