নিজস্ব সংবাদদাতা : রাতের অন্ধকারে তৃনমূলের তিনটি কার্যালয় ও একটি তৃনমূল সমর্থিত ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠলো বিজেপি’র বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই বাগনান থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা গেছে মঙ্গলবার ভোর রাতে তৃনমূলের দেউলটি কার্যালয়, সামতাবেড়িয়া কার্যালয় ও পানিত্রাস কার্যালয়ের পাশাপাশি দেউলটির তৃনমূল সমর্থিত একটি ক্লাবে ভাঙচুর চালায় একদল দূস্কৃতি।
ভাঙচুর করা হয় কার্যালয়ের জানালার কাঁচ, চেয়ার, টেবিল সহ একাধিক জিনিসপত্র। কার্যালয়ে লাগানো ফেল্ক্স গুলো ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি এক জায়গায় জড়ো করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় দলীয় পতাকা গুলিতে। পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় তৃনমূল সমর্থিত ক্লাবের ক্যারাম বোর্ড, টেবিল, চেয়ার। ভাঙচুরের পরের পর দুস্কৃতিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
বাগনানের বিধায়ক অরুনাভ সেন ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন রাতের অন্ধকারে আমাদের তিনটি দলীয় কার্যালয়ে এবং একটি ক্লাবে ভাঙচুর চালিয়েছে দূস্কৃতিরা।তিনি বলেন আমরা নিশ্চিত বিজেপি এই ঘৃন্য কাজের সাথে যুক্ত। তার অভিযোগ বিজেপি’র অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এই এলাকার মানুষ তৃনমূলের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই বিজেপি ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে ভীতুর মতো রাতের অন্ধকারে এই জঘন্য কাজ করেছে।
কেউ যদি মনে করে এটা করে তৃনমূলকে ভয় দেখাবে বা মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করবে, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। তিনি আরো বলেন গোটা দেশ যেভাবে বিজেপি’র বিরুদ্ধে চলে গেছে, ঝাড়খন্ডে মানুষ যে ভাবে বিজেপি কে প্রত্যাক্ষান করেছে তাতে ভয় পেয়ে বিজেপি মানুষকে ভয় দেখাতে এই কাজ করেছে। প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপি সাধারণ সম্পাদক প্রত্যুষ মন্ডল বলেন এই ধরনের নাটক আমরা আগেও দেখেছি। তিনি বলেন এই এলাকার তৃনমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। এলাকার মানুষ এখন বিজেপি’র সাথে রয়েছে। সেই ভয়ে তৃনমূল নিজেদের কার্যালয় নিজেরাই ভেঙে যে বিজেপি’র ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কোনো উপায়ে বিজেপি কে রুখতে চাইছে।
আমাদের একাধিক কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন তৃনমূল পুলিশ দিয়ে দল চালাচ্ছে, যেটা গনতন্ত্রের জন্য বিপদজনক। এলাকার মানুষ সব দেখছেন, ঠিক সময়ে তারাই এই মিথ্যাচারের জবাব দেবে।