নিজস্ব সংবাদদাতা : বিদ্যালয়ে ভুগোলের ক্লাস অনিয়মিত। ভেঙে পড়েছে নিয়মশৃঙ্খলা। ঠিকঠাক ভাবে হয়না পঠন পাঠন। এমনই একাধিক অভিযোগে বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায় কয়েকশো অভিভাবক। তাদের আরও অভিযোগ মাঝে মাঝেই নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে শিক্ষিকারা। তার জেরেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পঠন পাঠন। আমতা এক নং ব্লকের উদং উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিভাবকদের অভিযোগ ক্লাস চালু হবার পর ক্লাসরুম থেকে পড়ুয়াদের বের করে দিয়ে স্টাফ রুমে সবাইকে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাদের আরও অভিযোগ বিগত চার বছরে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন, শিক্ষার পরিবেশ ও নিয়মশৃঙ্খলার চুড়ান্ত অবনতি হয়েছে।
এই বিষয়ে বারবার প্রশাসনের কাছে দরবার করলেও সুরাহা মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ষোলো দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। বিক্ষোভরত অভিভাবকরা আরও জানান দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে অনিয়মিত ক্লাস করার অভিযোগ করে এলেও, কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উপরন্তু অভিযোগকারী ছাত্রীদের সাথে অভাব্য আচরণ করেন এক শ্রেণীর শিক্ষিকারা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবিকা বলেন পড়ুয়ার গায়ে গন্ধ, তাই তাকে বিদ্যালয়ে আসতে বারন করেছেন এক শিক্ষিকা। দেরীতে আসা, ঠিক সময়ে ক্লাসে না যাওয়া, নির্ধারিত সময়ের আগে চলে যাওয়া সহ একাধিক অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা। বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা দেবযানী বিশ্বাস বলেন বিদ্যালয়ে ছয়শো জন ছাত্রী রয়েছে। ভূগোলের শিক্ষিকাকে নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। উনি ঠিকমতো ক্লাস নেন না বলে অভিভাবকরা আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। সেই কারণে এই শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়ে তেরোজন শিক্ষিকা রয়েছে। কিন্তু চার বছর ধরে ভূগোলের দিদিমনিকে দিয়ে ঠিকমতো ক্লাস করানো যায়নি। স্মারকলিপির কপি অভিভাবকরা শিক্ষামন্ত্রী সহ অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে পাঠিয়েছেন বলেও অভিভাবকরা জানান। তাদের দাবি দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আমতা থানার পুলিশ। তার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয় অভিভাবকরা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ভূগোলের শিক্ষিকা অদ্বিতীয়া বিশ্বাস বলেন আমি যদি চার বছর ক্লাস না নিয়ে থাকি, তাহলে কিভাবে ভূগোলের ক্লাস চলছে। তার পাল্টা অভিযোগ বিদ্যালয়ের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।