নিজস্ব সংবাদদাতা : এলাকায় সহিষ্ণুতার বার্তা দিচ্ছে শ্যামপুর থানা এলাকার নবগ্রাম পঞ্চায়েতের ইসমালপুরের পঞ্চানন মন্দির ও মাজার। যে কোনো সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান হোক গায়ে গা মিলিয়ে অংশগ্রহণ করে হিন্দু মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। এই গ্রামে রয়েছে একটি পঞ্চানন্দ মন্দির এবং ঠিক তার পাশেই রয়েছে একটি মাজার। গ্রামের দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মিলিত উদ্যোগে পালিত হয় দুই সম্প্রদায়ের সমস্ত অনুষ্ঠান। মন্দির বা মাজারের বার্ষিক অনুষ্ঠানে চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে সমস্ত কাজেই সামিল হয় দুই সম্প্রদায়। সকালবেলা মন্দির পরিষ্কার করে ধূপ জালানোর পাশাপাশি মাজার পরিষ্কার করেও ধূপ জ্বালান এলাকার মহিলারা। এলাকার প্রধান প্রশান্ত দাস জানান এই এলাকার দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সাহায্যেই হয় মন্দির বা মাজারের সংস্কারের কাজ।
পাশাপাশি হিন্দু এবং মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষের সাহায্যেই এই মন্দির ও মাজার তৈরী হয়েছিল বলেও তিনি জানান। এলাকার এক মহিলা শ্যামলী দাস জানান এখানে আমরা সবাই এক। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। সকালে মন্দির এবং মাজার দুই জায়গাতেই পরিষ্কারের পাশাপাশি ধূপ জ্বালানো হয়।মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষও মাজারে এলে সেখানে ধূপ জ্বালিয়ে বাতাসা ছড়ানোর পাশাপাশি মন্দিরেও ধূপ জ্বালিয়ে বাতাসা ছড়ায়। এলাকার যুবক সেখ জহিরুদ্দিন জানান বাইরের কোনো ঘটনা কোনো দিনও তাদের সম্প্রতি নষ্ট করতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবেনা। তিনি আরও বলেন মন্দির বা মাজার যে কোনো অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে, টাকা বা শারীরিক শ্রম দিয়ে অনুষ্ঠানকে সফল করতে উদ্যোগ নেয় দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে বলেও তিনি দাবী করেন। গ্রামবাসীদের দাবী সাম্প্রদায়িক সম্পৃতির উজ্জ্বল নিদর্শন এই মন্দির ও মাজার। এই সম্প্রতির নিদর্শনের অংশ হতে পেরে গর্বিত গ্রামবাসীরা।