নিজস্ব সংবাদদাতা : বিষধর দেখলেই মানুষ ক্রমেই হিংস হয়ে উঠছে। মানুষকে সচেতন করতে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে আমরা শ্যামপুর (হাওড়া) বাসী ফেসবুক গ্রূপ। প্রচারের সুফল হাতে হাতে মিলছে। কয়েকদিন আগেই কমলপুর গ্রামে সাপ উদ্ধার করে শিরোনামে এসেছিল সুমন কাপড়ি নামে এক কলেজ পড়ুয়া। তাকে সাহসিকতার পুরস্কার দেওয়া হয়। আজ ফের দুটি বিষধর চন্দ্রবড়া ও একটি কচ্ছপ উদ্ধার করে নজির গড়ল শ্যামপুর। আজ ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুর থানার গোবিন্দপুর তালাপাড়া নামে এক গ্রামে। শ্যামপুর (হাওড়া) বাসী গ্রূপের সদস্য প্রশান্ত সাঁতরা জানান সকালে গোবিন্দপুরের একটি বাড়িতে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপটি ঢুকে পড়ে।
প্রতিবেশী শশধর মৈনান মাছধরা মুরগি তে সাপটিকে আটক করেন। গ্রামবাসী রা মেরে ফেলার জন্য লাঠি নিয়ে তৈরি হয়। বেলপুকুর গ্রামের এক ছাত্র অঙ্কন সামন্ত গোবিন্দপুর টিউশানি তে গিয়েছিল তারই নজরে পড়ে। ছাত্র টি প্রশান্ত সাঁতরা কে ফোন করে ঘটনাটি বলেন। সেই সাপটি নিয়ে প্রশান্ত কাজ ফেলে এলাকায় বাইক নিয়ে ছুটে যান। বনদফতরে জানিয়ে দেন। অবশেষে প্রশান্ত সাঁতরার তৎপরতায় সাপটিকে বনদফতর এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ছাত্র অঙ্কন সামন্ত জানান মানুষের হিংসার জন্য ক্রমেই কমে যাচ্ছে সাপের সংখ্যা। মানুষ সচেতন না হলে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনবেন। দ্বিতীয় ঘটনাটি শ্যামপুর (হাওড়া) বাসী গ্রূপের সক্রিয় সদস্য পেশায় স্কুল শিক্ষক সুব্রত অধিকারীকে রাধাপুর হাইস্কুলের শিক্ষক অনুপম মাইতি ও ড. অনিমেষ মাইতি জানান, অনুপম মাইতির কনিষ্ঠ ভাই রাধাপুর হাইস্কুলের শিক্ষাকর্মী অনিমেষ মাইতির মুগরিতে বিষধর সাপ চন্দ্রবোড়া পড়ে সেটিকেও বনদপ্তরের কর্মীরা উদ্ধার করেন। এলাকায় বন্যপ্রাণ নিয়ে শীঘ্রই মাইকিং প্রচার চালাবেন।
শ্যামপুর হাওড়া বাসী সোশ্যাল গ্রূপের আরো দুই সদস্য বিশ্বরূপ জানা ও মনোজ থান্দার জানান, এহেন কাজের কোনো প্রশংসা যথেষ্ট নয়। ছাত্রটিকে গাছ দিয়ে সাহসিকতার পুরস্কার দেওয়া হবে। বনদফতর আরো সক্রিয় হলে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। ৫৮ গেট ফরেস্ট অফিসার অজিত বাবু জানান সাপ, কচ্ছপ সহ আরো অনেক বন্যপ্রাণ উদ্ধারে শ্যামপুর (হাওড়া) বাসী সোশ্যাল গ্রূপটা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে চলছে। মানুষ কে সচেতন করছে। ভবিষ্যতে এভাবে সচেতন প্রচার ও উদ্ধার করে বনদফতরের হাতে তুলে দিলে অনেক বন্যপ্রাণ বিলুপ্ত হওয়ার রাস্তা খুঁজে পাবেনা।