নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলা তথা বাঙালির সাথে সার্কাস ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে। একটা সময় শীত মানেই ছিল সার্কাসের সময়। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বসত দেশ-বিদেশের নানা কোম্পানির সার্কাসের আসর। যদিও আজ সার্কাস শিল্প কার্যত অবলুপ্তির পথে। বাংলায় হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি কোম্পানি সার্কাসের আসর নিয়ে হাজির হয়। তাও কোভিডের জেরে গত দু’বছর সেভাবে কোথাও সার্কাসের আসর বসেনি। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলা মোড়ে শুরু হয়েছে সার্কাস। জানা গেছে, গত ১৮ ই নভেম্বর থেকে ১৬ নং জাতীয় সড়কের পাঁচলা মোড় সংলগ্ন পাঁচলা নেতাজি সংঘের মাঠে শুরু হয়েছে টার্জান সার্কাস। সার্কাসে রয়েছে হরেক রকম খেলা। একদিকে যেমন রয়েছে জিমন্যাস্টিক, ব্যালেন্স, জাল, রোপ, বাইকের মনমাতানো খেলা তেমনই রয়েছে মণিপুরী যুবক-যুবতীদের হরেক রকমের দৃষ্টিনন্দন খেলা। নানা কেরামতি দেখিয়ে দর্শকদের নজর কাড়ছেন জোকাররা। রয়েছে গুটিকয়েক বিদেশি পাখির খেলাও। যদিও এর বাইরে আর কোনো পশু-জন্তু নেই। সার্কাস কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোজ তিনটি করে শো রয়েছে। দুপুর ১ টা, বিকাল ৪ টে ও সন্ধ্যা ৭ টা থেকে শো শুরু হচ্ছে। ৬০ টাকা, ১০০ টাকা ও ১৫০ টাকার টিকিটের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেকটি শো দু’ঘন্টার। জানা গেছে, বিহারের টার্জান সার্কাস কোম্পানি এই প্রথমবার বাংলায় সার্কাসের আসর নিয়ে হাজির হয়েছে। দলে প্রায় ৪০ জন কর্মী রয়েছেন। কোম্পানির এক কর্তা জানান, প্রত্যেকদিনের জন্য খরচ প্রায় আঠারো থেকে কুড়ি হাজার টাকা। আটশোর মতো দর্শকাসন রয়েছে। আগামী প্রায় একমাস সার্কাস চলবে। কোভিডের জেরে অন্যান্য শিল্পের মতোই সার্কাস শিল্পও একদম মুখ থুবড়ে পড়েছে সার্কাস শিল্প এমনটাই জানাচ্ছেন শিল্পীরা। তার মাঝেও আশার আলো দেখছেন তাঁরা। এক দর্শকের কথায়, অনেকদিন পর সার্কাস হচ্ছে। খবর পেয়েই সপরিবারে দেখতে এলাম। ভালো লাগল। আট থেকে আশি প্রায় সকলেই এভাবেই ভিড় জমাচ্ছেন সার্কাসের আসরে।
গ্রামীণ হাওড়ায় সার্কাসের আসর, ভিড় জমাচ্ছে আট থেকে আশি
Published on: