নিজস্ব সংবাদদাতা : পরিবারের পুজোর রীতিনীতির জন্য রয়েছে বিশেষ বই। সেই বইয়ে লেখা নিয়মকানুন আজও অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। বহু প্রাচীন রীতি মেনে আজও বিজয়া দশমীতে প্রতিমা তৈরির জন্য মাটি তোলা হয়। ঐতিহ্যের পুজোয় রীতি মেনে মাইক বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এভাবেই ঐতিহ্য ও রীতিনীতিতে আজও অটুট গ্রামীণ হাওড়ার পাঁচলার বসু বাড়ির পুজো। প্রায় ২৬৫ বছর আগে পাঁচলার বসু বাড়িতে শুরু হয়েছিল কালীপুজো। সময়ের স্রোতে বসুবাড়ির চালচিত্রে পরিবর্তন হলেও পুজোর নিয়ম আজও অক্ষত। কর্মসূত্রে এখন বসু বাড়ির অনেকেই বাইরে থাকেন। তবে কালীপুজোয় সবাই গ্রামের বাড়িতে মিলিত হন। বাংলা তথা বাঙালির প্রধান দুর্গাপুজোয় তারা সামিল হলেও বসু পরিবারের কাছে তাদের বাড়ির কালীপুজো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের অন্যতম সদস্য সুভাষ বসু জানান, একসময় মা কালী স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
সেই থেকেই বিজয়া দশমীতে রীতি মেনে প্রতিমক তৈরীর জন্য মাটি তোলা হয়। পূর্বপুরুষদের হাতে তৈরি নিয়ম বা বসু পরিবারের পুজোর নিয়ম লিখতে বই রয়েছে। সেই বই অনুসরণ করেই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রতিবছর মা কালীর আরাধনা করা হয়। এবাড়িতে মা কালীর প্রধান প্রসাদ হল নারকেলের নাড়ু। একসময় ১০৮ টি মহিষ বলি হত। বসু বাড়িতে এইমুহূর্তে রয়েছে আঠারোটি পরিবার। সকলের বাড়িতেই তৈরি হবে নারকেল নাড়ু যা পুজোর প্রসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বাড়ির রীতি মেনে পুজোতে মাইকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। বসু পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পরিবারের কুলদেবতা রাজ রাজেশ্বরী জিউ। পুজোর দিন সকালে, কুলদেবতার আরাধনার পর তাঁকে বাজি-বাদ্যযন্ত্র সহকারে কালী মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। তারপর শুরু হয় কালী মায়ের আরাধনা। আড়াইশো বছরেরও বেশি সময়কাল ধরে এসব রীতিই চলে আসছে পাঁচলার বসুবাড়িতে। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যেই প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। বসু বাড়ি জুড়ে এখন সাজো সাজো রব।