নিজস্ব সংবাদদাতা : অপরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ কিংবা পুকুর — যেখানে সেখানে প্রায়শই বর্জ্র পদার্থ ফেলতে দেখা যায়। এসমস্যা প্রায় সর্বত্র। অপরিকল্পিতভাবে যেখানে বর্জ্র্য পদার্থ ফেলায় পরিবেশ যেমন দূষিত হয় তেমনই জল নিকাশি ব্যবস্থাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সমস্যা দূর করতে এবার এগিয়ে এলো হাওড়া জেলার সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েত। সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কঠিন বর্জ্র্য প্রক্রিয়াকরণ(Solid Waste Management) প্ল্যান্ট। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালে প্রোজেক্টটি তৈরির কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে প্ল্যান্টে শুরু হয় আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ। সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ টি গ্রাম সংসদের প্রায় ৫০০ বাড়ি থেকে নিয়মিত আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। তা থেকে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্রকে আলাদা করা হয়। পচনশীল পদার্থগুলোকে প্ল্যান্টে এনে জৈব সারে পরিণত করা হয়। অন্যদিকে অপচনশীল পদার্থগুলোকে বিভিন্ন বিভাগে চিহ্নিত করে প্রক্রিয়াকরণের পর তা বাজারজাত করা হয়৷ বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন...
সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদ্যুৎ পাল জানান, এই পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১০ হাজার পরিবার রয়েছে। সমস্ত পরিবার থেকেই আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে। প্ল্যান্টটি বর্তমানে কয়েক শতক জমির উপর নির্মিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে। প্রায় এক মাস হল জৈব সার উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জৈব গ্যাস তৈরী করতে বসানো হচ্ছে ট্যাঙ্ক, যা থেকে প্রতিদিন প্রায় দু’কেজি গ্যাস এবং লিকুইড সার পাওয়া যাবে। তিনি জানান, এনআরজিএ (NRGA) এমএনবি (MNB), ফিফটিন ফিন্যান্স এবং পঞ্চায়েতের জেনারেল ফান্ড থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্লান্টটি গড়ে তোলা হয়েছে। সমগ্র সাঁকরাইল পঞ্চায়েত এলাকার আবর্জনা তুলে প্রক্রিয়াকরণের জন্য আরও প্রায় ৫০-৬০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তার জন্য সরকারি সহযোগিতার প্রয়োজন বলে তিনি জানান। জৈব সার খুচরো ১০ টাকা এবং পাইকারি ৭-৮ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হবে বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছে গ্রীন ট্রাইবুনাল টিম।