নিজস্ব সংবাদদাতা : হনুমানের আতঙ্কে দিনেদুপুরেও থমথমে এলাকা। হনুমানের কামড়ে ও আঁচড়ে ইতিমধ্যেই জখম হয়েছেন সাত-আটজন। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডোমজুড় ব্লকের কেশবপুর ও নতিবপুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসখানেক ধরে হনুমানের আতঙ্কে দিনগুনছেন কেশবপুর ও নতিবপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ। ইতিমধ্যেই হনুমানের আঁচড়ে ও কামড়ে জখম হয়েছেন দু’ই গ্রামের সাত-আটজন। অভিযোগ, একটি দলে ১৫-২০ টি হনুমান রয়েছে। তারইমধ্যে একটি হনুমান দলছুট হয়ে কামড়ে দিচ্ছে। আর এই আতঙ্কেই দিনদুপুরেও আশঙ্কিত বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলে। হনুমানের আতঙ্কে শিশুদের দেখা নেই পাড়ার মাঠে। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন...
আইসিডিএস স্কুলে পঠনপাঠন চালু থাকলেও অভিভাবকরা শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না হনুমানের ভয়ে। কয়েকদিন আগেই মাঠে যাচ্ছিলেন নতিবপুরের আরতি কোলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিছন থেকে কামড় বসায় হনুমান। আরতি দেবীর কথায়, ক্ষত এতোটাই গভীর হয়েছিল যে পায়ের মাংস কেটে বাদ দিতে হয়েছে। বেশ কয়েকদিন হাওড়া জেলা হাসাপাতালে তিনি চিকিৎসাধীনও ছিলেন। আবার এক বৃদ্ধ তার নাতিকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই হনুমানের আক্রমণে জখম হন। হনুমানের আতঙ্কে এখন এলাকার বহু মানুষই কার্যত গৃহবন্দী। ইতিমধ্যেই স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বিষয়টি বন দপ্তরকে জানানো হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা সুধীর মান্না।