নিজস্ব সংবাদদাতা : প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির কুচকাওয়াজে নেতাজীর ট্যাবলো বাতিলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, কোলকাতার রেড রোডে ২৬ শে জানুয়ারি সুভাষ-ট্যাবলো বার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এরই মাঝে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন তথা ২৩ শে জানুয়ারীকে রাজ্যজুড়ে দেশপ্রেম দিবস হিসাবে পালন করার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন উলুবেড়িয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য কমিটির সদস্য ফরিদ মোল্লা। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ফরিদ মোল্লা জানান, ২০১১ সালের ২০ শে জানুয়ারী পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় ২৩ শে জানুয়ারীকে রাজ্যজুড়ে দেশপ্রেম দিবস হিসাবে পালন করা হবে। সেই মোতাবেক সেই বছর ২৩ শে জানুয়ারী রাজ্যজুড়ে দেশপ্রেম দিবস পালিত হয়। তাঁর অভিযোগ, তারপর রাজ্যে পালাবদল ঘটে। কিন্তু ২৩ শে জানুয়ারীকে দেশপ্রেম দিবস হিসাবে আর পালন করা হয়না। এমনকি সরকারি তরফে দেশপ্রেম দিবসকে বাতিল করাও হয়নি। তাই এবিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান জানতে কয়েকমাস আগে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে আরটিআই করেন ফরিদ।
ফরিদ মোল্লার অভিযোগ, আরটিআই করেও কোনোরূপ সদুত্তর পাইনি। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ফরওয়ার্ডের রাজ্য কমিটির এই সদস্য। গত ১০ ই জানুয়ারী এই মর্মে কোলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন ফরিদ মোল্লা। মামলাকারীর আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, ২০১১ সালের জানুয়ারী মাসে তৎকালীন সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনকে দেশপ্রেম দিবস হিসাবে পালন করা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে দেশপ্রেম দিবস হিসাবে দিনটিকে পালন করা হয়নি। সরকারের নোটিফিকেশন কার্যকর করার জন্য কোলকাতা হাইকোর্টে ফরিদ মোল্লা মামলা করেছেন।
এই মামলায় তিনি চেয়েছেন যাতে দিনটিকে দেশপ্রেম দিবস হিসাবে পালন করা হয়। রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, মঙ্গলবার মামলার শুনানি ছিল। রাজ্য সরকার সময় চেয়েছে। ২১ তারিখে আবার এই মামলার শুনানি হবে। এনিয়ে অবশ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা ফরিদ মোল্লা। তাঁর কথায়, যদি মুখ্যমন্ত্রী সত্যিই নেতাজীকে সম্মান দিতে চান তাহলে এই দিনটিকে দেশপ্রেম দিবস হিসাবে পালন করবেন। আর যদি তা না হয় তাহলে বুঝব নেতাজীর প্রতি শুকনো দরদ দেখাচ্ছেন।