নিজস্ব সংবাদদাতা : ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন সকালে সমাজের অবহেলিত মানুষকে নিয়ে বাগনান স্টেশন চত্বরে ভাইফোঁটার আয়োজন করেছিল বাগনানের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বজন’। সেই ছবিই ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন সংগঠনের সম্পাদক বাগনান-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ চন্দ্রনাথ বসু। সেখানেই সুভাষ রায় নামক এক ব্যক্তি কমেন্ট করে আক্ষেপ সুরে জানিয়েছিলেন,”আমার ভাই বোন তো কেউ নেই, তাই এই দিনটা নিজেকে একান্তে লুকিয়ে রাখি।” বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
কিছুক্ষণের মধ্যেই সুভাষ বাবুর আক্ষেপ মেটালেন চন্দ্রনাথ বাবু। বাগনান থানার বাঙালপুরের সুভাষ বাবুকে ডেকে নিয়ে সোজা পৌঁছে যান পানিত্রাসের শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাসভবনে। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে শরৎবাবুর এই হেরিটেজ বাড়িকে নিজের বাড়ির মতো করে আগলে রাখেন দুলাল মান্না।
কথাশিল্পীর বাড়িতে তাঁর মর্মর মূর্তির সামনে বসিয়ে দুলাল মান্না ও সুভাষ রায়কে ফোঁটা দেন স্বজনের সদস্যা শিক্ষিকা দীপা মান্না। ফোঁটা নিতে নিতে সুভাষ বাবুর চোখ ভরে উঠছে জলে। অশ্রুসজল চোখে, আবেগঘন কন্ঠে তিনি জানান, আমি আপ্লূত, আমি অভিভূত। কোনো ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই।
ফোঁটাদানের পাশাপাশি ছিল মিষ্টি মুখের ব্যবস্থা। স্বজনের সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু জানান, অবহেলিত মানুষকে নিয়েই তো আমাদের লড়াই। যখন জানতে পারি সুভাষ বাবু ফোঁটা থেকে বঞ্চিত তখনই তাঁকে ফোঁটা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। তিনি আরও বলেন, এদিন সকালে আমরা স্বজনের পক্ষ থেকে বাগনান স্টেশন চত্বরে ৩৩ জনকে ফোঁটা দিই।