নিজস্ব সংবাদদাতা : বুড়িমার আশীর্বাদে দুরারোগ্য ব্যাধি দূর হয়। সুপ্ত মনস্কামনা পূর্ণ হয়। এই বিশ্বাস নিয়ে বুড়িমার কাছে বহু দূরদূরান্ত থেকে বছরভর ভিড় জমান অজস্র মানুষ। আর কালীপুজো দিন তো কোনো কথাই নেই। তিল ধারণের কোনো জায়গা থাকে না। প্রতিবছরের মতো এবারও বহু দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা ভিড় জমাতে শুরু করেছে গ্রামীণ হাওড়ার খলিশানী কালীতলা এলাকার সুপ্রাচীন কালীমন্দিরে। ৩৫০ বছরেরও বেশি সময়ের প্রাচীন ও ঐতিহ্যশালী এই পুজোর পিছনে জড়িয়ে রয়েছে বহু জানা-অজানা কাহিনী। বিস্তারিত জানতে নীচে পড়ুন…
জানা যায়, প্রথমে আমতার হরিশদাদপুরে এই কালীমূর্তি স্থাপন করেছিলেন কালীকুমার ভট্টাচার্য। পরবর্তী সময়ে তিনি খলিশানীতে চলে আসেন। সেখানেই এক নির্জন স্থানে তিনি বুড়িমার মূর্তি স্থাপন করেন। শোনা যায়, ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে বুড়িমার দ্বারে এসে আশীর্বাদ নিতেন ডাকাতরা। কালীর নিয়মে সেসব এখন অতীত। বছরভর মা’য়ের কাছে ভক্তদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কার্ত্তিক মাসের কালীপুজো আর পৌষমাসের উৎসবে এই সুপ্রাচীন কালীমন্দিরে ভক্তের ঢল নামে।
ভক্তদের বিশ্বাস, মা দুরারোগ্য ব্যাধির নিরাময় ও মানুষের সুপ্ত ইচ্ছে পূরণ করেন। খলিশানীর বুড়িমার এতোটাই জাগ্রত যে বছরের যেকোনো সময়ে কোনো শুভ কাজ করার আগে মা’য়ের পুজো দেন স্থানীয় মানুষরা। পাশাপাশি, খলিশানী এলাকার সমস্ত কালীপুজো কমিটি এই কালীবাড়িতে মা’কে পুজো দেন। তারপর তাদের মন্ডপে পুজো শুরু হয়। বারো বছর অন্তর প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। পুজোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে এরকম বহু ইতিহাস, জানা-অজানা কাহিনী। তা-ই বিগত বছরগুলোর মতো এবারও মা’য়ের আশীর্বাদ নিতে বহু দূর থেকে ছুটে এসেছেন অগণিত ভক্ত।