নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যে যখন একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন ঢোকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও মাটি কামড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
তাঁদের সম্মিলিত লড়াই আশা জোগাচ্ছে বঙ্গবাসীকে। প্রেরণা জোগাচ্ছে করোনা আক্রান্তদের। এযেন গাঢ় অন্ধকারের মাঝে একটুকরো আশার আলো। তাঁদের লড়াইয়ের ফলশ্রুতি হিসাবে আজ গ্রামীণ হাওড়ার ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতাল থেকে মোট ১০১ জন করোনা রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদের মধ্যে ৫৪ জন মহিলা, ৪২ জন পুরুষ এবং ৫ জন শিশু। করোনাকে জয় করে বাড়ি ফেরা এই সমস্ত মানুষকে সংবর্ধনা দিতে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক তুষার সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায়, মন্ত্রী নির্মল মাজি, বিধায়ক ইদ্রিস আলি সহ অন্যান্যরা। করোনা নামক মহামারীকে সামনে থেকে জয় করতে পেরে স্বভাবতই খুশি ওঁরা প্রত্যেকেই।
এই বেসরকারি হাসপাতালটির ডিরেক্টর শুভাশিস মিত্র সমস্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “করোনা রোগীদের সুস্থ করে বাড়ি ফেরাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে আমাদের পুরো টিম। বিজ্ঞান ও মানবিকতার মেলবন্ধনেউ আমরা করোনাকে জয় করতে পারব। অনেক ভাইরাসের বিরুদ্ধে জিতেছি আমরা, করোনার বিরুদ্ধেও মানব সভ্যতার জয় হবে।”
বিধায়ক ইদ্রিস আলির কথায়, “সঞ্জীবন হাসপাতাল যেভাবে করোনা মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে তাতে আমি গর্বিত।” সমাজ যখন করোনার ভয়ে কাঁটা, তখন করোনা – জয়ীরাই সমাজের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে হার না মানা লড়াইয়ের বার্তা – “এ আঁধার হবে ক্ষয়, হবে ক্ষয় রে, ওহে বীর, হে নির্ভর”।