নিজস্ব সংবাদদাতা : উলুবেড়িয়া-হুগলী নদী ও রাজপুর ক্যানেলের সংযোগস্থলে একপারে রয়েছে সেচ দফতরের সরকারি বাংলো এবং পিকনিক স্পট অপরদিকে রয়েছে মিল কলোনী। দুই পাড়ই পড়েছিল ভয়াবহ ভাঙনের কবলে। নদী ভাঙনের হাত থেকে দুটি পাড়কেই রক্ষা করতে দুই পাড়ের বাঁধ বাঁধার কাজ শুরু করলো সেচ দফতর। কাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন কলোনীর বাসিন্দারা। খুশি পিকনিক স্পটে পিকনিক করতে আসা মানুষেরাও। হুগলী নদীর তীরে সিজবেড়িয়ার এই পিকনিক স্পটে দূরদূরান্ত থেকে পিকনিক করতে আসেন কয়েক হাজার মানুষ। এই পিকনিক স্পটের একাংশ পড়েছিল হুগলি নদীর ভাঙনের কবলে। হুগলী নদী ও রাজাপুর ক্যানেলের এই ভাঙন ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। সেই ভাঙন রোধে কাজ শুরু করলো সেচ দফতর। এই এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া হুগলি নদী থেকে রাজাপুর স্লুইসগেটের দুরত্ব ২৫০ থেকে ৩০০ মিটার। এই এলাকার খালের একদিকে যেমন রয়েছে সেচ দফতরের বাংলো এবং পিকনিক স্পট। অন্যদিকে প্রায় ৪০০ মানুষ বসবাসকারী উলুবেড়িয়া পুরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত এই কলোনীতে রয়েছে একটি বড় চটকল, ডাকঘর এবং বাজার। নদী ও খালের সংযোগকারী এই এলাকায় জাহাজ যাওয়ার কারণে এবং জোয়ার ভাটার কারণে ভাঙছে এই পাড় বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দা আবুল বাসার জানান পাড় বাঁধার কাজ শুরু হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন এই এলাকার মানুষ। তিনি আরও বলেন বছর ৫ আগে পর্যন্ত খালের পাড়ে বড় মাঠ ছিল। যার বেশিরভাগটাই ভাঙনের ফলে চলে নদী গর্ভে। তবে এই পাড়ের ভাঙন রোধে বড়ো পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত বলেও তিনি দাবি করেন। এলাকার এক গৃহবধু বাসন্তী হোড় বলেন জোয়ার এলেই পাড়ের অনেকটা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই পাড় বাঁধা না হলে ক্রমশই ভাঙন বাড়তে থাকবে। সেই কারণেই পাড় বাঁধার কাজ শুরু হওয়ায় তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।সেচদপ্তরের সিজবেড়িয়ার আধিকারিক চন্দ্রশেখর রাপ্তান বলেন, তাদের বাংলোর দিকে প্রায় দুশো মিটারএবং সিজবেড়িয়া কলোনির দিকে দুশোর কিছু বেশি এলাকা জুড়ে পাড় বাঁধার কাজ শুরু করেছে । এর জন্য এককোটির কিছু বেশি টাকা অনুমোদন পাওয়া গেছে। সেচ দপ্তরের রাজাপুর বিভাগের সেকশন অফিসার পরেশ মন্ডল বলেন কয়েকমাসের| মধ্যেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এহেন সুখবরে স্বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের।
ভাঙন রোধে কাজ শুরু করলো সেচ দফতর, স্বস্তির নিঃশ্বাস সিজবেড়িয়ার বাসিন্দাদের
Updated on: