নিজস্ব সংবাদদাতা : ছেলেধরা সন্দেহে ন্যাশনাল হেলথ মিশনের সার্ভে করতে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজনকে আটকে রেখে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। প্রায় দুই ঘণ্টা পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে শ্যামপুর থানা এলাকার বাছরি এলাকায়। জানা গেছে মঙ্গলবার দুপুরে এই এলাকায় ন্যাশনাল হেলথ মিশনের সমীক্ষা চালাচ্ছিলেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তিন প্রতিনিধি। তারা সমীক্ষার কাজে স্থানীয় রণজিৎ মান্নার বাড়িতে গেলে তাদের পরিচয়পত্র ও নির্দেশিকা দেখতে চান রণজিৎ মান্না। পরিচয়পত্র দেখালেও কোন নির্দেশিকা দেখাতে না পারায় তাদের সন্দেহ হওয়ায় তিনি বাড়ির অদূরের পঞ্চায়েত অফিসে খবর দেন। এলাকায় রটে যায় ছেলেধরার গুজব। তৎক্ষণাৎ তাদের ঘিরে ধরেন কয়েকশো গ্রামবাসী। পরে বাছরী পঞ্চায়েতের কর্মীরা তাদের নিয়ে যান পঞ্চায়েত অফিসে। সেখানে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। প্রায় ২ ঘন্টা আটকে থাকার পর শ্যামপুর থানার পুলিশ ও র্যাফ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। পঞ্চায়েতের কর্মী অবকাশ সামন্ত বলেন ছেলেধরা গুজবে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এলাকা। সোমবার দুই ব্যক্তি সমীক্ষার কাজে এলাকায় এসেছিলেন। তারা বাংলাভাষী হওয়ায় কারো কোনো সন্দেহ হয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার এক হিন্দিভাষী ব্যাক্তি সমীক্ষার কাজে এসেছিলেন। তার ভাষা বুঝতে না পেরে সন্দেহ হওয়ায় তার পরিচয়পত্র ও নির্দেশিকা দেখতে চায়। পরিচয়পত্র দেখাতে পারলেও কোনো নির্দেশিকা দেখাতে পারেনি তারা। তারপরেই ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আমরা তাদের উদ্ধার করে পঞ্চায়েত অফিসে নিয়ে আসি এবং পুলিশে খবর দিই। পঞ্চায়েত সুত্রে জানা গেছে স্থানীয় ভিডিও অফিস বা পঞ্চায়েত অফিসে সমীক্ষা সম্বন্ধীয় কোনো নির্দেশিকা ছিলনা।
ছেলেধরা সন্দেহে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজনকে আটকে রেখে বিক্ষোভ
Updated on: