নিজস্ব সংবাদদাতা : গত ৩রা ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে হয়ে মৃত্যু হয়েছে বাবার। ১২ ই ফেব্রুয়ারি শুরু জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। আকাশ ভেঙে পড়েছিল বাগনান থানা এলাকার ধড়ামান্না গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ নিকেতনের ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ১৫ বছরের কিশোর পিন্টু জানার মাথায়। প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যেও হার না মানা মানসিকতা কে সাথে নিয়ে গায়ে উত্তরীয় চাপিয়ে মাধ্যমিকের বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিল পিন্টু। এলাকার মানুষজন জানালেন পিন্টুর নবম শ্রেণীতে পাঠরতা এক বোন রয়েছে। পিন্টুর বাবা তপন জানা ১০০ দিনের কাজ করে সংসার চালাতেন। সংসারের অভাব ঘোচাতে ও নিজের এবং বোনের পড়াশোনার খরচ জোগাতে টুকটাক কাজ করে সামান্য কিছু উপার্জন করতো পিন্টু। হাটাৎ পিতৃ বিয়োগে দিশেহারা পরিবারের পাশে দাঁড়ান বাগনান পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও আনন্দ নিকেতনের সম্পাদক শ্রীকান্ত সরকার। সুষ্ঠু ভাবে তার বাবার পরোলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করতে সাহায্যের পাশাপাশি তার পরিবারকে কিছু আর্থিক সহায়তা ও করেন। মা শেফালী জানার সাথে পরীক্ষা দিতে আসা পিন্টু কে উৎসাহ জোগাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে এসে তার সাথে দেখা করে যান মানিক বাবু। পিন্টু জানায় বাবার ইচ্ছা ছিল বড় মানুষ হয়ে যাতে গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। বাবার ইচ্ছা পূরণের জন্যই তাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। পরীক্ষার মধ্যেই বাবার পরোলৌকি কাজ সম্পন্ন করতে হলেও, ভালো ফল করার বিষয়ে সে যথেষ্ঠ আশাবাদী বলেও পিন্টু জানায়।
গায়ে উত্তরীয় নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল সদ্য বাবা কে হারানো কিশোর
Updated on: