নিজস্ব সংবাদদাতা:দেশের সংবিধান কে অবমাননা, গনতন্ত্র কে বাকরুদ্ধ করার চেষ্টা, কুৎসা, অপপ্রচার, ধর্মান্ধতা ও বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গন অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হলো হাওড়া গ্রামীন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। হাওড়া গ্রামীন জেলার তৃণমূল সভাপতি পুলক রায় বলেন বিজেপি নেতারা বলছেন তৃণমুলের সাংসদ, মন্ত্রী গ্রেফতার হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু করলেন না। তবে একজন পুলিশ অফিসার কে জিঞ্জাসাবাদের জন্য সি বি আই যাওয়ায় তিনি কেন ধর্নায় বসলেন?কারণ দিদি সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট, উলুবেড়িয়া কোর্ট কে বিশ্বাস করেন। আইন আইনের পথে চলবে। আপনারা আইনের অপব্যবহার করছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। আইনের অপব্যবহার করতে গিয়ে ক্ষমতার দম্ভে দম্ভিত। তিনি আরো বলেন কলকাতা পুলিশ কে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাথে তুলনা করা হয়। সেই কলকাতা পুলিশের একজন ১৯৮৯ সালের আই পি এস অফিসার উত্তরপ্রদেশের রাজীব কুমার, তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। সিবিআই জিঞ্জাসাবাদ করতেই পারে। কোনো আপত্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমুলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, চিফ সেক্রেটারি, স্বরাষ্ট্র সচিবের সাথে কথা না বলে একজন পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে ৪০ জনের সিবিআই টিম পাঠিয়ে তাকে জোর করে গ্রেফতারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে। সেই জায়গাতেই মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি। আমি এই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কে সালাম, প্রনাম, কৃতজ্ঞতা জানাবো, যে তিনি রাস্তায় বেরিয়ে রাজীব কুমারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি জানান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যতদিন রাজনীতিতে আসেননি ততদিন চুপ ছিলেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজনীতিতে এসেছেন, তার দল তাকে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছে। সারা ভারত জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা হয়েছেন। তার ৩ দিন পরেই তার স্বামী রবার্ট বঢড়া কে ইডি ডেকে পাঠিয়েছে। আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, তার বিরুদ্ধেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করছেন। তিনি বলেন আপনারা এর আগেও দেখেছেন স্বৈরাচারী শাসন। শুধু নরেন্দ্র মোদী নয় সিপিএম এর আমলে জ্যোতি বসু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রাও করেছে।জোর করে কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বিরুদ্ধে ২৬ দিন অনশন করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ঠিক ছিলেন, পরবর্তী কালে সুপ্রীমকোর্টের রায়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা ভাবেন, আইন সেটাকেই সিকৃতি দেয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৪২ শে ৪২ টি আসনেই জয়লাভ করবে। তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে যে দুটি আসন পেয়েছিল, তা নিজেদের ক্ষমতায় নয়। দার্জিলিং আসন জিতেছিল গুরুং এর সাহায্যে আর আসানসোল আসন জিতেছিল ঝাড়খণ্ড থেকে মাফিয়া এনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। এই নির্বাচনে তারা শূন্য হয়ে যাবে। তিনি বলেন ধর্মতলায় ব্রিগেড সমাবেশে এসে দুই বিজেপি নেতা বলে গিয়েছেন চৌকিদার চোর হ্যায়। ২০১৯ বিজেপি ফিনিশ। এই ধর্না মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাবেরী দাস, সহ সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য, হাওড়া গ্রামীন জেলার তৃনমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুকান্ত পাল সহ অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।
উলুবেড়িয়ার ধর্ণা মঞ্চ থেকে সরাসরি কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলের
Updated on: