নিজস্ব সংবাদাতা : নির্বাচনের ঘন্টা বাজার সাথে সাথেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার প্রচার। চলতি নির্বাচনের প্রচারের ক্ষেত্রে স্যোশাল মিডিয়ায় উপর জোর দিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলি। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মাধ্যমে চলছে দলীয় প্রচার। স্যোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই দ্রুত মানুষের কাছে পোঁছাতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে কর্মীরা। অল্প খরচায় সহজেই লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে নিজেদের কথা পৌঁছে দিতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের মধ্যে চলছে জোর টক্কর।গত উলুবেড়িয়া লোকসভার উপনির্বাচনের বাম প্রার্থী তথা উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবিরুদ্দিন মোল্লা বলেন বেশ কয়েকশো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রপের মাধ্যমে দলের কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বামফ্রন্টের নীতি, আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মানুষের মধ্যে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও স্যোশাল মিডিয়াকে প্রচারের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হবে বলেও তিনি জানান। হাওড়া গ্রামীন এলাকার বি জে পি সভাপতি অনুপম মল্লিক জানান হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ২৫০ টির বেশি গ্রুপ আছে। এছাড়াও বি জে পি হাওড়া গ্রামীন, বি জে পি উলুবেড়িয়া, আমাদের বি জে পি উলুবেড়িয়া সহ একাধিক ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। পিছিয়ে নেই শাষকদল তৃনমূল কংগ্রেসও। উলুবেড়িয়া তৃণমূল কংগ্রেস, আমতা কেন্দ্র তৃনমূল কংগ্রেস, উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্র তৃনমূল কংগ্রেস, উদয়নারায়নপুর কেন্দ্র তৃনমূল কংগ্রেস সহ একাধিক ফেসবুক গ্রুপ ছাড়াও রয়েছে অগুনতি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সেগুলোর মাধ্যমে শুরু হয়েছে জোরদার নির্বাচনী প্রচার। তৃনমূল ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল এখন ও পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করলেও, প্রচারের কাজ আগে থেকে এগিয়ে রাখতে স্যোশাল মিডিয়ার সাহায্যে শুরু হয়েছে দলীয় প্রচার।দেওয়াল লিখনের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ ও সক্রিয় কর্মীর প্রয়জন। এই মুহূর্তে সি পি এম ও কংগ্রেসের সাংগঠনিক দূর্বলতার জন্য তাদের সক্রিয় কর্মীর সংখ্যা কম বলে মেনে নিয়েছেন দুই দলের নেতৃত্ব। তবে নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা হলেই তারাও ঝাঁপিয়ে পড়বেন দেওয়াল লিখন ও ফ্লাগ ফেস্টুন লাগাতে। তার আগে স্যোশাল মিডিয়াকে বেছে নেওয়া হয়ে নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে।
উলুবেড়িয়া লোকসভা নির্বাচন ও উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রচারে জোর টক্কর স্যোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের
Updated on: